বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা বৃহস্পতিবার (৪ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওজোপাডিকোর খুলনা বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অলক কুমার।
সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ বিআইএফপিসিএলের মাধ্যমে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের সম্ভাবনা এবং বিআইএফপিসিএল কর্তৃক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসংযোগ লিংকসহ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুৎ হতে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর, ভুটানে জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ত্রিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশে সেই বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় বাগেরহাটের রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ (২*৬৬০) মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১ম ইউনিটের পরিচালন ও ২য় ইউনিটের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী জুন, ২০২৩ এর মধ্যে ২য় ইউনিটের সিনক্রোনাইজ করা হবে মর্মে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। ক্রস বর্ডার ট্রেড ও প্রকল্পগুলির যৌথ উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পও আলোচনায় স্থান পায়।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২১ তম সভা ০৩ মে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২০তম সভা গতবছর মে মাসে ভারতের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরবর্তী সভা আগামী নভেম্বর ২০২৩ -এ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।েএআরএস