সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সদর উপজেলা কাওয়াকোলা ইউনিয়নের আবাদি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কাওয়াকলা ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ইউনিয়বাসী মানববন্ধন করেছে।
রোববার (৭ মে ) সকাল ৯ টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টের পুরাতন জেলখানায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনগন এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে।
বক্তারা বলেন, আমরা ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নবাসী পাড়ভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করি। জেনেছি যে, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা দিয়েছে। যা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত। অথচ বালুদুস্য বদরুল আলম, গোলাম মোস্তফা সোহাগ, তৌহিদুল ইসলাম তাপস, তোফাজ্জল হোসেনসহ জোরপূর্বক অবৈধভাবে নদীর পূর্ব পাড়ে অর্থ্যাৎ ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের মধ্যে বালু উত্তোলণ করছে। যা নিয়ম বর্হিভূত ও আইন পরিপন্থি। বালু উত্তোলণের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের ফসলিজমি, বাড়-ঘর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কমিউনিটি সেন্টার, মুজিবকেল্লা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা আমাদের অবহেলিত ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। যেমন: বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কমিউনিটি সেন্টার, মুজিবকেল্লা ও পাকা রাস্তা নির্মাণ এবং ভূমিহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। আর আজকে এই অবৈধ বালু উত্তলোণের কারণে এসব উন্নয়নমূলক কাজ হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্য কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নবাসী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাওয়াকোলা ইউনিয়নের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, ইউপি সদস্য জনাব আলী, আমজাদ হোসেন ও সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এআরএস