পেকুয়ায় ১০ লক্ষ মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম
পেকুয়ায় ১০ লক্ষ মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে

মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সারাদিন রোদের দেখা মেলেনি। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এলাকার লোকজন রাস্তাঘাটে দেখা যায়নি। সবাই আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়নি। সড়ক ও মার্কেট ছিল ফাঁকা। আবহাওয়া অধিদপ্তর দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারকে ১০নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। এরপর থেকে লোকজনের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়েছে। নির্ঘুম রাত পার করছে দুই উপজেলার ১০ লক্ষ মানুষ।

উপকূলীয় বদরখালী  ইউনিয়নের মাগনামা পাড়া এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, এলাকার অধিকাংশ লোকজন পাশ^বর্তী সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নিতে দেখা যায়। অনেকে গরু ছাগল ও গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে শেল্টারে নিচে অবস্থান করে। 
উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ এর পক্ষ থেকে মাইকিং করে ‘মোখা’র সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে। তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিতেও বলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়ের জন্য স্থানীয় স্কুল-কলেজ এর ভবনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে।  

এ দিকে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার অন্তত ১০ লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। 

চকরিয়ার ৯৮টি ও পেকুয়ায় ১২১টি সইক্লোন শেল্টার স্থানীয় জনগণের জন্য  ব্যবহার উপযোগী করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনকে এসব শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। 

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, চকরিয়া উপজেলায়  বিশেষ করে উপকূলীয় ৭ ইউনিয়ন ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। এসব এলাকার লোকজনকে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে রয়েছে চিড়া, গুড় ও মুড়ি। এছাড়া শিশুদের জন্য দুগ্ধজাত খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দিতে থানা পুলিশের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ সহায়তা প্রদান করবেন।
একইভাবে দুই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর চিকিৎসকদের সমন্বয়ে দুটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।  

অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ইউএনও পূর্বিতা চাকমা জানান।

আরএস