শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ক্রমেই নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলছিরা ঘাটে পানি বাড়তে শুরু করেছে। সাগরের বড় বড় উত্তাল ঢেউ উপকূলে আঁছড়ে পড়ছে। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অধীনে থাকা, সিপিপির পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং করছে স্বেচ্ছাসেবকরা।
রোববার (১৪ মে) ভোর থেকে হাতিয়ার উপকূলের উপজেলায় ক্ষণে ক্ষণে মাইকিং করছে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব নলচিরা ঘাটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানে পূর্বের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার থেকে থেমে থেমে বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল সমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এছাড়া উপকূলের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। এতে সতর্কতা জারির পরও মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ তেমন দেখা যাচ্ছে না।
তবে গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা উপকূলে এসে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
সিপিপি হাতিয়া উপ পরিচালক মোঃ বদিউজ্জামান জানিয়েছেন মাইকিংয়ের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় কালীন এবং পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের সেবার জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও হাতিয়ায় ২৪২ টি আশ্রয় কেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরএস