৮ জন আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের সদস্য আটক

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
৮ জন আন্ত:বিভাগীয় ডাকাত দলের  সদস্য আটক

রবিবার (১৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে  করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতরা সকলেই আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের  সদস্য। তারা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থেকে ডাকাতি পরিকল্পনা করে এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে থাকেন। 

টার্গেট নির্ধারনের পর তারা একটি পূর্ব নির্ধারিত জায়গায় মিলিত হয়ে চুরি/ডাকাতি করে আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দেয়।

পুলিশের অভিযানে তাদের অবস্থানগুলি সনাক্ত করে ধারাবহিকভাবে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। তাদের মোবাইল নম্বর ও স্থান ঘন ঘন পরিবর্তন করায় অভিযান টিমকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।  তারা দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধায় অভিযান পরিচালনা করে দুই দফার ৮ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। 

চক্রের বাকী সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকায় কয়েকটি তথ্য এখানে উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী, আড়িয়া ফরিদুলের নামে অত্র কোতয়ালী থানা, দিনাজপুরে ০৫টি এবং ঠাকুরগাঁও এ ০১টি চুরি, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা সহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে এবং ১৩টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। আসামীর বাড়ী দিনাজপুর থানাধীন দক্ষিন রামনগর মোলান পুকুর এলাকায়। 

প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, আসামী দীঘদিন ধরে নীলফামারী, টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন। 

অপর আসামী সুমন ১টি ট্রাক ক্রয় করে তার ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে আসছে। তারা ঘটনার দিন নীলফামারী ইপিজেড এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের নেতৃত্বে থাকা সদস্যরাসহ অন্যরা তাদের মোবাইল বন্ধ করে ঘটনাস্থলে আসে। ডাকাত সদস্যরা সু-কৌশলে ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের বড়ইল বনকালি গ্রামস্থ উক্ত মামলার বাদী মোঃ ফজলুল করিম টুটুল এর ফার্মে প্রধান গেইট এর তালা ভেঙ্গে ট্রাকটি সীমানা প্রাচীরের ভিতরে রেখে খামারের রক্ষনাবেক্ষনকারী মোঃ সবুর, মোঃ লতিফুর রহমান, নয়ন রায়দেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত, পা চোখ বেঁধে ঘটনাটি ঘটায়। পরবর্তীতে তারা মুখের বাধন কৌশলে খুলে সাহায্য প্রার্থনা করলে আসেপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।

অভিযানে মোট ৫ জন গ্রেফতার হন এবং একই সাথে উক্ত আসামীদের নিকট হতে যথাক্রমে-ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি ৬ চাকার ট্রাক উদ্ধার হয়েছে। আসামি  ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ (৩৫), পিতা-শরিফুল ইসলাম ওরফে বাংক, সাং-দক্ষিন রামনগর মোলানপুকুর) থানা-কোতয়ালী, জেলা-দিনাজপুর।  উক্ত আসামীর পিসিপিআরে ৬টি চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ কোতয়ালী থানা, দিনাজপুরে ১৩টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। সুমন দাশ (২৬), পিতা-ভদ্র দাশ, সাং-বিষ্ণপুর (জেলেপাড়া) থানা-খানসামা জেলা-দিনাজপুর।

উক্ত আসামীর পিসিপিআরে ০৪টি মামলা রয়েছে। সবুজ ইসলাম(২৫), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, সাং-ফুটকীবাড়ী, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর। উক্ত আসামীর পিসিপিআরে ০১টি মামলা রয়েছে। শাহ আলম(৪০), পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ, সাং-ওসমানপুর (মুন্সিপাড়া) থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর। আসামীদের পিসিপিআরে ১৩টি মামলা রয়েছে।

আতিকুল ইসলাম (৪২), পিতা-মৃত ইসমাইল হোসেন, সাং-কাচারীবাজার (বড় সংঘইলশীল) থানা ও জেলা নীলফামারী আসামীর পিসিপিআরে ১০টি মামলা রয়েছে। ভারত চন্দ্র রায়(২৭), পিতা-শ্রী রাম প্রশাদ চন্দ্র রায়, সাং-দাশপাড়া, থানা-খানসামা, জেলা-দিনাজপুর। আসামীর পিসিপিআরে ৪টি মামলা রয়েছে।

আরএস