ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম দরবেশের ছেলে মো. মেহেদী (২৩) হাসান বৃহস্পতিবার ভোরে সৌদি আরবের রিয়াদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেন। সে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
প্রায় ১৪ মাস আগে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতা আর ধার-দেনা করে মেহেদী সৌদি আরবে যায়। মো. রফিকুল ইসলাম দরবেশের ৩ ছেলের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। প্রবাসে পরিবারের উপার্জনক্ষম ছেলের অকাল মৃত্যু অন্যদিকে মাথার উপর ঋণের বোঝা। এসব চিন্তায় যেন চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে তাদের। এক প্রকার বাকরুদ্ধ পরিবারের মানুষগুলো। তার এই অসময়ে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না পিতা-মাতা, ভাই, আত্মীয়-স্বজনরা। মেহেদীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত প্রবাসীর চাচা আব্দুস সালাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেদীর এক বন্ধু শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে মৃত্যুর খবর দেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে প্রাথমিকভাবে খবরটি এভাবে আমাদের কাছে পৌঁছানো হয়। অন্য কোন কারণ আছে কিনা এ বিষয়টি আমাদের কাছে এখনো পরিস্কার নয়। শুনেছি ঐদেশের পুলিশ এসেছে, খোঁজ খবর নিচ্ছে।`
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার একটি কথা ছিল, টাকা-পয়সার জন্য কেও যেন চিন্তা না করে। বাড়ির কাজ কিভাবে করা যায় তার বাবার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে পরামর্শ করেন। তাছাড়া ছোট ভাইদেরকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে চিন্তাই বেশি করতো সে। ফোনে নিয়মিত বাড়ি ঘরের সবার খোঁজ-খবর রাখতো।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, `মেহেদী খুবই ভালো ছেলে ছিল। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হওয়ার। সৌদিতে ভালো কোম্পানিতে কাজ পেয়ে তার অবস্থা পরিবর্তন দেখে খুবই ভালো লাগছিল। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারি নাই।`
আরএস