বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে যে সংশয় ছিলো তা কেটে গেছে। চলমান মে মাসের বেতন ঠিকঠাক ভাবেই পাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্থায়ী ও অস্থায়ী ২ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মে মাসের বেতন ভাতা আংশিক নয় শতভাগ পাচ্ছেন বলে বিসিসি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করপোরেশনের মে মাসের বেতন ভাতা প্রদান নিয়ে এখন কোন সংশয় নেই। যথা সময়ে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে বেতন ভাতা প্রদান করা হবে। জানা গেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ২ হাজার ৯৩ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে ৪১৯ জন স্থায়ী এবং ১ হাজার ৬৭৪ জন অস্থায়ী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে করপোরেশনের ব্যয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবং গত প্রায় ২ মাস ধরে ঢাকায় অবস্থান করায় করপোরেশনে অর্থ সংকট তৈরী হয়।
কপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিদের মধ্যে সংশয় তৈরী হয় চলমান মে মাসের বেতন ভাতা না পাওয়া নিয়ে। কিন্তু মাস শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগেই সেই সংশয় কেটে গেছে। করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মেয়র স্যার বরিশালে না থাকায় আমরা চলমান মাসের বেতন ভাতা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছি। কখনো শুনছি ফান্ডে টাকা নেই। আবার কারো মারফত শুনছি টাকার সংকট থাকায় বেতনের অর্ধেক প্রদান করা হবে। তাই বেতন ভাতা নিয়ে আমরা খুব শংকিত। অফিসের অনেকেরই মন খারাপ, কাজেও মন বসছে না। করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে মে মাসের শুরুতেও ফান্ডে বেতন ভাতা দেওয়ার মত পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় অর্থ ছিলো না। মেয়রের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঠিকাদারকে মোটা অংকের বিল পরিশোধ করায় হঠাৎ করপোরেশনে আর্থিক সংকট তৈরী হয়। যে কারনে বেতন ভাতা পরিশোধ নিয়েও শংকা তৈরী হয়।
আরএস