কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্যকাশিপুর গ্রামের মমেনা ও মমিনুল ইসলাম দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান শারিরিক প্রতিবন্ধী। নিজের ভিটামাটি না থাকায় বাবার পাওয়া সরকারি একটি ঘরে মুরাদ ও মুনতাসিন নামের দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে কোনোভাবেই বসবাস করছেন মমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী।
দিনমজুর হওয়ায় রুটির জন্য প্রায় ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালান মমিনুল ইসলাম। শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু দুটি আস্তে আস্তে বড় হওয়ায় ঘর বাহির করতে বিপাকে পড়েছেন মা মমেনা বেগম। সন্তানকে দুটি হুইলচেয়ার কিনে দেবার সামর্থ্য নাই তাদের। তাই অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেলেনি দুটি হুইলচেয়ার।
এদিকে বিছানায় থাকতে থাকতে দুটি শিশুর পিঠে ঘা পড়ে গেছে। তাই সন্তানকে বাইরের আলো বাতাস দেখাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে দুটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন মা মমেনা বেগম। অপরদিকে নাতির এমন দুর্দশা না দেখতে পেয়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন ওই দুই প্রতিবন্ধীর দাদি ও নানা।
মনেনা বেগম জানান, আমার স্বামী একজন দিনমজুর প্রায় সময় ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালায়, যা আয় করে তা দিয়ে কোনভাবেই আমাদের সংসার চলে, সন্তানকে হুইলচেয়ার কিনে দেয়ার মত সামর্থ্য আমাদের নেই, কোথাও থেকে দুটি হুইল চেয়ার পেলে অনেক সুবিধা হতো।
কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক জানান,পরিবারটি খুব অসহায় তাদের হুইল চেয়ার কেনার মত কোন সামর্থ্য নেই, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হুইলচেয়ার দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই, তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে দুটি হুইল চেয়ারের আবেদন জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের বরাবর হুইলচেয়ারের আবেদন করলে দ্রুত সম্ভব আমরা ব্যবস্থা করে দেব।