নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকা থেকে সাটার মিঞি আলী হোসেনকে অপহরণের পর হত্যা করে তার দেহ ১২ টুকরো করে ঝিলে ফেলে দেওয়ার বিষয় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামী।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগমের আদালতে ও সানজিরা সারোয়ারের আদালতে এ জবানবন্দি পেশ করেন।
এরা হলেন সুমি আক্তার পাখি ও তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে আলী হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পর ১৯ মে তার স্ত্রী সোনারগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। এদিকে গত ৪ মে কাঁচপুরের সেনপাড়া এলাকা থেকে আলী হোসেন নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কারী রিপোর্টে জানাযায়, আলী হোসেনকে সুমি আক্তার গত ৪ মে বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। এসময় সুমির স্বামী আবু বকর আলী হোসেনকে দেখে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে এক পযায়ে আবু বকর আলী হোসেনকে ঘুষি মেরে নিচে ফেলে দেয়।
সুমি বালিশ দিয়ে আবু বকর এর মুখে চাপা দেয়। এতে আবু বকর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে আবুবকর বটি ও ছুরি দিয়ে পেটের নারিভূরি বের করে ঝুরির মধ্যে ফেলে দিয়ে সারা রাত দেহকে ১২ টুকরো করে ৫ মে রাতে সারুলিয়া ঝিলের বিভিন্ন স্হানে ফেলে দেয়।
তবে আলী হোসেনের শরীরের কোন টুকরো না পেলেও আলী হোসেনের পায়ের জুতা সুমির বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এইচআর