নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের লাউফা গ্রামের ১০১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেয়ালের ইট খুলে পড়ছে।
স্কুলের কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার অভিযোগ করলেও কোন সমাধান হয়নি। ইট গাঁথুনির ১০ দিন পরও কিছু ইট খুলে পড়ে যেতে দেখা গেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল বেপারি বলেন, কাজের শুরু থেকে আমি কাজের মান নিয়ে কথা বলছি। তবে এরা আমাদের কথা কানেই নেয়নি। প্লাস্টারের বালু দিয়ে পিলারগুলো ঢালাই দিয়েছে। নিষেধ করলে বলে কোন সমস্যা হবে না। গত রাতে উপরের একটি দেয়ালে গাঁথুনি করে নিচে নামার আগে ভেঙে পড়ে যায়। দিনের বেলা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।
লাউফা গ্রামের আ.লীগের নেতা হাবিল মিয়া বলেন এরা আমার সরকারের ক্ষতি করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজেট থাকার পরও বালুর পরিবর্তে পঁচা বিট বালু ও অল্প সিমেন্ট দিয়ে স্কুলের কাজটি করে যাচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ বলেন, আমি কয়েকবার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। তবুও তারা এই সব নিম্নমাণের বালু দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভবনটির কাজ করছে।
ঠিকাদার মো. আসাদ বলেন, রাতে কাজটি করেছিল, পানি একটু বেশি পড়ে যাওয়ায় হয়তো এমনটি হয়েছে।
তাছাড়া এই স্কুলের কাজটি অন্য ঠিকাদার পেয়েছিল, উনি কাজ রেখে চলে গেছে, এখন আমি কাজটি করছি। আর এ কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বারহাট্টা, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ থেকে ইঞ্জিনিয়াররা এসে তদারকি করছে।
বিষয়টি জানার জন্য বারহাট্টা উপজেলার প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দের মোবাইলে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেন নি।
এইচআর