ডাক্তারের পছন্দের ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারে রোগীকে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পাঠান মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কের বহির বিভাগে চিকিৎসা প্রদান কারী উপ-সহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার আশাবুশ শহীদ।
তবে রোগী ডাক্তারের পছন্দের সালেহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে না গিয়ে নিউ সনো ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে রক্তের ৩টি পরীক্ষা করে নিয়ে আসলে ঘটে বিপত্তি। ডাক্তার রির্পোটের কাগজ না দেখে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রোগীকে বের করে দেয়।
রোববার সকালে মহেশপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নাটিমা ইউপির নস্তি গ্রামে জামাই বাড়িতে বেড়াতে আসা সেলিম রেজার শাশুরী বাবলী খাতুন এমনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, শরীরে এর্লাজি বাড়ায় সকালে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মেয়ে জামাই। ডাক্তার দেখানোর পর ৩টি পরীক্ষা করে নিয়ে আসতে বলেন ডাক্তার। সে অনুসারে পরীক্ষা করে নিয়ে আসি, ডাক্তার সে রির্পোট না দেখে ছুড়ে ফেলে দেন। তিনি বলেন আপনাকে যে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠিয়েছি সেখানে না গিয়ে অন্য ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে এসেছেন কেনো? এটা আমি দেখবো না।
মেয়ে জামাই সেলিম রেজা বলেন, বহির বিভাগে চিকিৎসা প্রদান কারী উপ-সহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার আশাবুশ শহীদের কাছে সকালে আমার শাশুরীকে নিয়ে যাই। তিনি রক্তের পরীক্ষাসহ ৩টি পরীক্ষা করে আনতে বলেন। আমরা সালেহায় না গিয়ে আমার পরিচিত সনো ডায়াগনষ্টিক থেকে পরীক্ষা করে নিয়ে আসি। পরীক্ষার রির্পোট তাকে দেখাতে গেলে তিনি ছুড়ে ফেলে দেন এবং বলেন অন্য জায়গার পরীক্ষার রির্পোট আমি দেখবো না। তাকে অনেক অনুরোধ করার পরও তিনি রির্পোটটি দেখেননি।
উপ-সহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার আশাবুশ শহীদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অনেক সময় রোগীরা নিজেরাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়ে আসে। সেই রির্পোট গুলো দেখিনা এমনটি হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হেদায়েত বিন সেতু বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি এমন একটি ঘটনার কথা। সে যদি নিয়ম বর্হিভূত কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচআর/আরএস