পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিবন্ধীর খোঁজ খবর নিলেন ওসি

ত্রিশাল( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম
পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিবন্ধীর খোঁজ খবর নিলেন ওসি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যের মানবেতর জীবনযাপন যেন  হৃদয় বিদায়ক  কাহিনীর হার মানায়।  

কখনো খেয়ে,কখনো না খেয়ে প্রতিবন্ধী এই পরিবারটি চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন সংগ্রাম। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটিক উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজোড়া এলাকার মরহুম রমজান আলী পরিবারের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজেড়া গ্রামের  মৃত রমজান আলী শেখের স্ত্রী মোসাম্মৎ আনোয়ারা খাতুন  দীর্ঘদিন যাবত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তার মেয়ে  অহিদা আক্তারকে দুই বছর ধরে  শিকল বন্দি অবস্থায় রাখা হচ্ছে। অহিদা কে বিবাহ দিলে একদিনের মাথায় সে( প্রতিবন্ধী) মাথা খারাপ হয়ে যায়। এরপর থেকে  অহিদাকে শিকলবন্দি করে বেঁধে রাখা হয়। কখনো গাছের সাথে কখনো বা ঘরের বারান্দায় তাকে এভাবেই বেঁধে রাখা হয়।অন্য মেয়ে ফরিদা খাতুন প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন।বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ আজ একটি রিপোর্ট ছাপা হয়  ত্রিশালে  একই পরিবারের তিনজনই প্রতিবন্ধী। এ সংবাদটি ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা দৃষ্টিগোচর হলে  তিনি সাথে সাথে ত্রিশাল থানার ওসি মো: মাইন উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করেন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওসি মাইন উদ্দিন সাথে সাথেই ছুটে যান প্রতিবন্ধীর বাড়িতে। প্রতিবন্ধীর বাড়িতে গিয়ে তিনি কুশল বিনিময় করে হতদরিদ্র পরিবারের নিকট জেলা পুলিশ সুপারের উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সাইদ, ইউপি সদস্য  সুলতান সাদেক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

ত্রিশাল থানার ওসি  মো: মাইন উদ্দিন জানান, ত্রিশালে একই পরিবারের তিনজন প্রতিবন্ধী এই শিরোনামে দৈনিক আমার সংবাদ একটি খবর ছাপে আজ। এই খবরটি ময়মনসিংহের সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার  মাছুম আহমেদ ভূঞা নজরে আসলে  তিনি সাথে সাথে আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানান। আর এই পরিবারের জন্য কিছু আর্থিক অনুদান দেন আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট  স্যারের অনুদান পৌঁছে দিয়েছি। ওসি আরও জানান, ঈদের পর এই পরিবারের সদস্যদের উন্নত চিকিৎসা করা হবে।

আরএস