নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হাত ও মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্শনের দায়ে থানায় মামলা দায়েরর তিন দিন পর আসামি সাকিল কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১১ এর একটি দল ।
শনিবার দিবাগত রাত ১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়। ধর্ষিতার মা সাফিয়া বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। তার গ্রেপ্তারের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র -ছাত্রীরা তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করে। এ সময় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম ফাইজুল হক ডালিম তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার (২০) জুন রাত আনুমানিক ৯-৩০ ঘটিকায় উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা সূত্রে জানা যায় ওই ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিত মধ্যারচর গ্ৰামের রাজ্জাক ওরফে রেজেকের বখাটে ছেলে শাকিল (১৯)। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাতে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে শাকিল তার ২-৩ জন বন্ধুর সহায়তায় ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে ছাত্রীর বাড়ির পশ্চিম দিকে ফাঁকা ঘর বিটায় নিয়ে গিয়ে মুখ ও হাত বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ ঘরের ভিতর না দেখে বাড়ির লোকজন বাহিরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম দিকে ফাঁকা ঘর বিটায় তাকে অজ্ঞান ও অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান। ওখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঘরে এনে সেবা-যত্ন করার পর তার জ্ঞান ফিরে। তার অবস্থা খারাপ দেখে পরের দিন বুধবার রাতে স্বজনরা তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। হাসপাতালে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব সাকিলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরএস