শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার জয়ন্তী নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী ১৫ থেকে ২০ টি পরিবার। নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে পট্টি গ্রামের বেশ কিছু ফসলি জমি ও বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যত্র চলে গেছে কয়েকটি পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের পট্টি গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের পট্টি ব্রিজের পূর্বপাড় থেকে নুরুল ইসলামের বাড়ীসহ, আলী মিয়া
রারির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নদীর পাড় হঠাৎ করেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সরকার নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে এখানে কোন স্থানীয় ব্যবস্থা নেয়নি। গত বছর বর্ষায় নদী ভাঙ্গনের সময় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও সঠিক ভাবে ডাম্পিং করেনি।
নদীর ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানো নুরুল ইসলাম ও নাসির হাওলাদারসহ এলাকাবাসী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও উপজেলা প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করছি যাতে খুব দ্রুত ভাঙ্গন রোধকল্পে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়। তা না হলে এই বর্ষায় নদী ভাঙ্গনে ১৫ থেকে ২০ টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
নদী ভাঙ্গনের কথা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দেওয়ান রকিবুল হাসান জানান, আমরা নদী ভাঙ্গনের স্থান পরিদর্শন করেছি, ওইখানে আগেও একবার কাজ হয়েছে। এবারও নতুন করে আমরা কাজ শুরু করবো কিন্তু এখন ঈদের জন্য লেবারের সমস্যার কারণে কাজটা শুরু করতে পারছিনা, ঈদের পরেই খুব দ্রুত নতুন করে আবার কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত বলেন, নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে খুব দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু হবে।
আরএস