সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত আহত হয়ে ৪০ জন এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আহতদের কয়েকজন জানিয়েছেন, পশু কোরবানি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তারা আহত হন। কেউ পশু জবাই করার সময় ষাঁড়ের গুতোয় আহত হয়েছেন। আবার কেউ মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো ছুরি কিংবা দায়ের আঘাত পেয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইউনিটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭২ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জনই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের ওই ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আরকান্দিা গ্রামের সেলিম আহমদ (৪৬)। তিনি বলেন, সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে গ্রামে গরু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিসহ চারজন গরুটি ধরে রেখেছিলেন। হঠাৎ গরুটি লাফিয়ে ওঠে। তখন অন্যরা গরুর রশি ছেড়ে দেন। এসময় পাশে থাকা আরেক ব্যক্তির ধারালো দা তার হাতে লেগে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
একই উপজেলার ডৌবারি এলাকার বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিন বলেন, গরু কোরবানির পর মাংস কাটছিলেন তিনি। এসময় দায়ের আঘাত লাগে বাম হাতে। এতে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাসেল আহমদ মাংস কাটতে গিয়ে হাতে ছুরির আঘাত পেয়েছেন। তার ভাই জুবের আহমদ বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে সিলেটে পাঠিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের শামসের নগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু মিয়াও হাতে ধারালো ছুরির আঘাত পেয়েছেন। তার ভাই শাকিল আহমদ বলেন, কোরবানির সময় ডান হাতে থাকা ছুরি পশুর গলায় চালাতে গিয়ে বাম হাতে লেগেছে। এতে মিঠুর চারটি আঙুলের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে।
সুনামগঞ্জের চরের বন্দ এলাকার বাসিন্দা আকিব আলী বলেন, কোরবানির সময় নিজ হাতে থাকা ছুরি পায়ে লেগেছে। এতে বাম পায়ের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জরুরি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক নিরুপম দত্ত জানান, আহত ব্যক্তিদের করোরই অবস্থা গুরুতর নয়। তবে কয়েকজনের হাড়ে আঘাত পাওয়ায় এক্স-রে করতে বলা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, আশা করছি তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
আরএস