ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মাটিভাঙ্গা- পাওতা সড়কের নাঙ্গুলি প্রাইমারি স্কুল কালভার্ট সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে।
এ ছাড়া সড়কটিতে পণ্যবাহী গাড়ি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ চলে বিভিন্ন যানবাহন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাংঙ্গুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে প্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাস্তাটির। এক পাশ দিয়ে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। কখনো গাড়ি উল্টে পড়ে যাচ্ছে খাদে আবার কখনো পথচারি ছিটকে পড়ছে ভাঙন স্থলে। এ ভাঙন দ্রুত সময়ে সংস্কার না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় পথচারি ও যানবাহন চালকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাফসান তালুকদার বলেন, এই এলাকার মানুষ ছাড়াও কুলকাঠি, তৌকাঠি, পাওতা, আখড়পাড়া,হাড়িখালী, বৈচন্ডী ও নাংঙ্গুলি এলাকার মানুষের উপজেলা শহর ও জেলা শহরের সাথে প্রধান সংযোগ সড়ক এটি। এই ৭ গ্রামের মানুষের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল , থানা, হাটবাজার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক।
এছাড়াও প্রামিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা ও সরকারি ডিগ্রী কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এই সড়ক হয়ে। এতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই।
গাড়িচালক শামিম জানান, সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। আজকে সকাল থেকে এখানে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে অনেকেই আহত হয়েছেন। ভাঙা গর্ত বড় হতে হতে এখন এই সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ বলেন,নলছিটিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ জন্য প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। গতকাল রাতে বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার গর্তের কারণে দুর্ঘটনা হয়। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।
এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীর বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এইচআর