প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সহকারী শিক্ষিকার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৬:২০ পিএম
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সহকারী শিক্ষিকার

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জস্থ পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা।

গত শনিবার রাতে ওই শিক্ষিকা নিজেই বাদী হয়ে অভিযোগটি করেন। একই সাথে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান বাবুকেও বিবাদী করা হয়েছে।

এদিকে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি করায় এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত শনিবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বাদীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও দুই সন্তানের জননীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাবসহ শারীরিক অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনসহ যৌন হয়রানি করে আসছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন। ওই শিক্ষিকা ২০০৪ সাল থেকে পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছিলেন।

এদিকে অভিযুক্ত মহিউদ্দিনও একই সময় একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে মহিউদ্দিন পাশবর্তী ইউনিয়নের চরশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে পুনরায় তিনি ওই পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগ লাভ করে আবারও ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

যৌন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষিকা জানান, তার স্বামী একজন অসুস্থ মানুষ। তার বড় ছেলে মেডিকেলে পড়াশোনা করেন এবং একমাত্র মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। অসুস্থ স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতেই থাকেন। স্বামীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক সম্পর্ক করার কু-প্রস্তাব দেন। বিষয়টি একাধিকবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা বা প্রতিকার করেননি।    
   
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন জানান, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে ওই শিক্ষিকা তার সুনাম ও মর্যাদাহানি করার অপচেষ্টা করছেন। এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে।

একই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান বাবু যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়টির সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল প্রধান শিক্ষক ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ সত্য নয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচআর