রংপুরে আ.লীগের মহাসমাবেশ

২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম
২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছেন। এরপর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। 

উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হলো:  আলাইকুমারী নদী পুনর্খনন, পীরগাছা চৌধুরানী জিসি থেকে শঠিবাড়ি আরএইডি ৫৭৯ মি. সড়ক (পীরগাছা অংশ), শেখ রাসেল মিডিয়া সেন্টার, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল সুইমিং পুল, পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ের জলাবদ্ধতা নিরসন শীর্ষক প্রকল্প, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, পালিচড়া স্টেডিয়াম, নলেয়া নদী পুনর্খনন, পীরগঞ্জ ভেণ্ডাবাড়ি থেকে খালাশপীর জিসি সড়ক পুনর্বাসন, কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর জিসি থেকে পাওটানা জিসি ভায়া ভায়ারহাট সড়ক পুনর্বাসন, মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট-পীরগাছা ভায়া বালারহাট সড়কের গোপালগঞ্জ ঘাটে ঘাঘট নদীর ওপর ৯৬ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট জিসি-কাকিনা আরএইডি সড়কে ৪০ মি. আরসিসি ভেরিয়েবল ডেপথ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, কাউনিয়া উপজেলায় তিনতলা পল্লীমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ, রংপুর মেডিকেল কলেজের মাল্টিপারপাস ভবন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ভবন, মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট বেগম রোকেয়া মডার্ন হাসপাতাল, হেলেঞ্চা ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র, খালাশপীরে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, মাদারগঞ্জে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র, রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাসফন্ট প্লান্ট ও স্টোর ইয়ার্ড নির্মাণ, ভারারদহ বিল, পাটোয়া কামরী বিল, চিতলী বিল ও নৈমুন্না বিল পুনর্খনন এবং রংপুর সিটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নির্মাণ, বিটাক কেন্দ্র স্থাপন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়, রংপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অফিস ভবন এবং লেডিস হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন। সমাবেশের কার্যক্রম শুরুর পর পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতারা।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীও বক্তব্য দেবেন।

রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এ মহাসমাবেশে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে করে দুপুর সোয়া ১টায় রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি যান সার্কিট হাউজে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রায় ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাসে ভাসছে রংপুরের মানুষ। এর আগে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। সেবার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এইচআর