পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আজ রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব সুপ্রদীপ চাকমা পররাষ্ট্র ক্যাডারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জনপ্রশাসনের এক আদেশে তিনি গত ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার (৩জুলাই ) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া প্রার্থনা করেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া প্রার্থনায় যোগ দেন।
এ সময় টুংগী পাড়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ তথা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য তিন জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে রাঙ্গামাটি সফর করেন। এই এলাকাটা দুর্গম এবং পশ্চাদপদ ছিল। আমরা কখনো চাইনা পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন দাঙ্গা সংঘাত বিরাজমান থাকুক। আমরা উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্গম পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী মিজ নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ নূরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-বাস্তবায়ন মোঃ হারুন অর রশিদ, সদস্য-পরিকল্পনা মোঃ জসিম উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি,র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙ্গামাটি,র নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জুবায়ের আহমেদ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, ও অন্যান্য দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস