খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে টানা ছয় দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কসহ আন্তঃসড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে। সেই সাথে পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি, নদী ও ছড়ার পাড় ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে এবং মহামুনি হেডম্যান কার্যালয় সংলগ্ন খালের পাশে ভয়াবহ ভাঙ্গনের ফলে ৩৩ কেভির দুটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। যার ফলে যে কোন সময় বিদ্যুৎসংযোগ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জনদুর্ভোগের এমন খবরে সোমবার (৭ আগস্ট) সাড়ে ১১টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী, মানিকছড়ি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার ইসলাম শাওন, আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জিয়া উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তৌহিদ-উজ-জামান, দুপ্রক সভাপতি মো. আতিউল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা। তাৎক্ষণিক ভাঙ্গনরোধে অস্থায়ী ব্যবস্থার গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।
উপজেলার মহামুনি হেডম্যান কার্যালয় সংলগ্ন ৩৩কেভি’র দুটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিদর্শনকালে মানিকছড়ি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার ইসলাম শাওন স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতা চান। পরে ইউপি সদস্যরা তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করলে তার নেতৃত্বে সেনা, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের টানা প্রায় দুই ঘন্টা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাটিভর্তি বস্তা ও বাশঁ বসিয়ে অস্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্পের নীচে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক ভাঙ্গনরোধে অস্থায়ী ভাবে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে পানির স্রোত রোধ কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
দুপুর নাগাদ ৩৩কেভির দুটি বিদ্যুতের খুঁটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগ। দুয়েক দিনের মধ্যে খুঁটি দুটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আবাসিক আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জিয়া উদ্দিন।
এআরএস