কক্সবাজারের পেকুয়ায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গা পাড়া এলাকার চিংড়ির ঘের থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত তিন শিশু হলেন, ওই এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে তওহিদা বেগম (১০), ছেলে আমির হোসেন (৫) ও ছাবের আহমদের মেয়ে হুমায়রা বেগম (৮)।
নিহত হুমাইরার মা জাহেরা বেগম জানান, বুধবার বিকেলের দিকে মাছ ধরার বাহনা করে বাড়ি থেকে বের হয় হুমায়রা। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ভেবে ছিলাম হুমায়রা পাশের ভাইয়ের বাড়িতে গেছে। পরে জেনেছি বড় ভাইয়ের দুসন্তান আমির হোসাইন ও তাহিদা বেগমও নিখোঁজ হয়। ভোরে বাড়ির পাশে একটি চিংড়ি ঘেরে হুমায়রার মরদেহ ভাসতে দেখি। তার পাশে পানিতে ডুবা অবস্থায় ভাতিজা ও ভাইজির মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চারিদিকে থৈথৈ পানি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে মারা যাওয়া তিন শিশু এ বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা শেষ হয়ে রাত নেমে আসলেও বাড়ি না ফেরাতে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে। পরে তাঁদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সারারাত খোঁজেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাছের ঘেরে এ তিনজনের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এসময় নিহত তিনজন একে-অপরের হাত ধরা অবস্থায় ছিলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীয়ত উল্লাহ বলেন, বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ খবর প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, উজানটিয়ায় বিলের পানি থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকাতে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এক সাথে তিন ভাই বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নাজিম/এআরএস