শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম
শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

বাগেরহটের শরণখোলায় পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার পাঁচ বছরের মেয়ে সাওদা জেমি খুনের ঘটনায় মামলা দয়ের হয়েছে। শনিবার (১২আগস্ট) সকালে মামলার প্রধান আসামীসহ তিন সহোদরকে (ভাই) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

আটকরা হলেন- উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের তিন ছেলে মনির হাওলাদার (৪২), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)। সকালে (শনিবার) শরণখোলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে এই আসামীদের।

এর আগেদিন শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে ঘটে নৃসংশ এ হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীরা সন্ধ্যারাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়ে সাওদা জেমি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মা পাপিয়া বেগম।

পাপিয়া বেগমের স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। জিহাদ (১৫) নামে তার একটি ছেলে আছে। সে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

পাপিয়ার ভাসুর স্কুল শিক্ষক আবু তালেব টুকু অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলেটি তাকে মঠবাড়িয়াতে। বাড়িতে শুধু ভাইয়ের স্ত্রী ও ময়েটি থাকতো। একা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী লম্পট মনির হাওলাদার ভাইয়ের স্ত্রীকে (পাপিয়াকে) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। মনিরের ভয়ে মেয়েকে নিয়ে রাতে অন্য বাড়িতে থাকতো পাপিয়া। মনিরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, নিহত পাপিয়া বেগমের ভাই আল-আমীন খলিয়া বাদী হয়ে মনির হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে তার অন্য দুই ভাইসহ সাত জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মা-মেয়ের লাশ বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক ইনস্পেক্টর বাবুল আক্তার জানান, জোড়া খুনের ঘটনায় শনিবার সকালে শরণখোলা থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এআরএস