পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হঠাৎ করে চোরের উৎপাত বেড়ে গেছে। পৌর শহরের মোবাইলের দোকান ও বাসাবাড়িতে একাধিকবার চুরি হয়েছে। বাদ যায়নি মসজিদের দান বাক্সের টাকা। এমনকি চোরেরা নিয়ে গেছে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিন্ধুক। এসব ঘটনা পুলিশের নাকের ডগায় ঘটলেও দেখা যায়নি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা।
সর্বশেষ গত রোববার মধ্যরাতে থানা থেকে মাত্র কয়েক’শ গজ দূরে একটি ভাংগারির দোকানে চুরি ঘটনা ঘটে। নগদ অর্থসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এবিষয়ে ওই ভাংগারি ব্যবসায়ী কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও কোন সুরাহা পায়নি।

এদিকে দিন দিন মাদক সেবীদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসকল চুরির ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সদর রোড সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডের পূর্ব পাশে একটি বাসা বাড়িতে মাদক ও দেহ ব্যবসার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এবিষয়ে প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
ভুক্তভোগী ভাংগারী ব্যবসায়ী অপু জানান, সোমবার সকালে দোকান খুলেই দেখি আমার দোকানের বেড়ার টিন কাটা এবং ক্যাশ বাক্সের তালা ভাংগা। দোকানের মালমাল এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখি আমার দোকান থেকে পিতল, পোড়া তামা, লোহা ও নগদ অর্থসহ প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরোও বলেন, তার দোকানের পিছনে মাদকের ব্যবসা চলমান থাকায় সেইসকল মাদক সেবীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন।
কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে, মাদক ও দেহ ব্যবসায়ের বিষয়ে হাতে নাতে কেহ ধরিয়ে দিতে পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এআরএস