গ্রামবাসীর ভোগান্তি যে সড়ক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩, ১২:২১ পিএম
গ্রামবাসীর ভোগান্তি যে সড়ক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একাধিক মেগা প্রজেক্ট ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সড়ক যোগাযোগে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার থেকে শের-ই-বাংলা নৌঘাটিতে যাতায়াতের প্রধান সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

এ সড়কটিতে আগে ইট বিছানো থাকলেও তার ছিটেফোঁটার চিহ্ন পাওয়া এখন দায়। কোথাও পানি জমে রয়েছে, আবার কোথাও হাঁটু সমান কাঁদা। এরফলে ওইসব এলাকার মানুষের ভোগান্তি এখন চরম পর্যায় পৌঁছেছে।

এদিকে, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ার-ভাটার পানিতে বর্ষা মৌসুমে ঘর-বাড়িগুলো প্রায় অর্ধনিমজ্জিত থাকে। অধিকন্তু, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহন হলেও অর্থ পরিশোধ করে তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে উদাসীন রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে, সড়ক সংষ্কারের কাজ স্থবির হয়ে পরেছে।

অতিদ্রুত ভূমি অধিগ্রহনের সমুদয় টাকা পরিশোধ করে অনত্র বসবাস করার ব্যবস্থা করবেন বলে দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিপাড়া ও গোলবোনিয়া মৌজার অধিকাংশ জমি শের-ই-বাংলা নৌঘাটি’র সম্প্রসারনের জন্য অধিগ্রহন করা হয়েছে। এ দু’টি মৌজায় বানাতিপাড়া, পশরবুনিয়া, ছোনখোলা, দশকানি ও চরপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার লোক বসবাস করছেন।

পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা লিটন বলেন, আমাদের রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা চলাচল করতে পারছি না। সামান্য বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর, পুকুরসহ সব পানিতে তলাইয়া যায়। রাস্তায় কোন গাড়ি চলতে পারেনা, তাই মাথায় বস্তা নিয়ে হেটে যেতে হচ্ছে। সরকার আমাদের বাড়িঘরের নোটিশ দিয়া রাখছে, টাকা-পয়সা দেয় না আর উঠাইয়াও দেয় না। সড়কের কারনে আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, আমি এবিষয়ে একাধিকবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আবারও বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে বলবো।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের  টাকা পরিশোধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করবো। কিন্তু অর্থ পরিশোধে বিলম্ব হলে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করবো।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কুতুবুল আলম বলেন, ওখানে কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। অনেকের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ হয়েছে। এখনও যেসকল ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচআর