দরজায় কড়া নাড়ছে নির্বাচন

চট্টগ্রামে কমিটি গঠন নিয়ে যুবলীগের তোড়জোড়

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম
চট্টগ্রামে কমিটি গঠন নিয়ে যুবলীগের তোড়জোড়

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে সরকার বিরোধীরা রাজনীতির মাঠে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখল ও জনগণের দৃষ্টি ফেরানোর যত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই মুহুর্তে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ হাঁটছে ভিন্ন পথে।

প্রায় ৯ মাস হলেও নিজেদের কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করে ইউনিট কমিটি গঠনের জন্য সম্মেলন ও সিভি জমা নিয়েছেন। সিভি জমা নেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো গত ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। পরবর্তী সময় বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট করা হয়েছে। সিভি জমা দেওয়া ও সম্মেলন করা ইউনিটের একাধিক নেতাকর্মীর বক্তব্যে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

তাঁরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারছেনা আদৌ নির্বাচনের আগে কমিটি হবে কিনা। মূলত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নতুন হয়েছেন। সকল উপজেলা ও ইউনিয়নে আগের কমিটির একটি নাম ডাক বলয় ও পরিচিতি রয়েছে। তাই বর্তমান কমিটির অবস্থান তৈরির জন্য কমিটি গঠনের তোড়জোড় ছাড়া কিছুই নয়।

বর্তমান সময়ে কমিটি গঠনের বার্তা শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব গ্রুপিং ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারে নি। যা জাতীয় নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জেলার প্রত্যেকটিতে গ্রুপিং চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা জামাত-বিএনপিকে মোকাবেলা করার চাইতে নিজেরা নিজেদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াতে ব্যস্ত। তারা সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজে নিজ নেতার গুণগান ও বিপরীত নেতার বদনামি করা। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়নে কমিটি দেওয়ার যে আবহাওয়া শুরু হয়েছে এতে আরো বেশি আক্রোশ বাড়ছে। নেতাকর্মীদের অবস্থা দেখে কেউ সত্যিকারের আওয়ামী লীগ করে কিনা সন্দেহ। সবাই ভাইলীগ করে থাকেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি কমিটিও হয় কেমন লাভ হবে? এমন প্রশ্নে উত্তর মিলে, স্বাভাবিক যারা কমিটিতে আসবেনা, তারা প্রথম দিকে আন্দোলন করার সঙ্গে রাজনীতিতে  নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। এতেও ঘুরে ফিরে দলের ক্ষতি ও জাতীয় নির্বাচনে ভালোই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুবিধা নিবেন জামায়াত-বিএনপি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, জমা নেওয়া সিভিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। তবে যুবলীগের কমিটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার তেমন প্রভাব থাকেনা। সকল যোগ্যতার সাথে শিক্ষগত যোগ্যতা থাকলে ভালো। ৪৭টি ইউনিয়নে সম্মেলন করেছি। ৩২টিতে কমিটি দিয়েছি। বাকীগুলো দেওয়া হবে। জেলা যুবলীগের কমিটি জমা দিয়েছি।আগামী মাসে ঘোষণা করা হবে আশা করি। সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবেনা। নিজেদের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই বলে দাবি এই নেতা।

এআরএস