বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর বাউফলে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম গাজীকে (৩৮) পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বরিশাল নগরীর রুপাতলী র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। গ্রেপ্তার সেলিম গাজী পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৮ নং ওয়ার্ড বড় ডালিমা এলাকারমো. আবুল কালাম গাজীর ছেলে।
অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নুরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গ্রেপ্তার সেলিম গাজী শিক্ষক এবং সকল শিক্ষার্থীদের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শিক্ষা সফরে নিয়ে যায়। শিক্ষা সফরে অবস্থানকালীন রাত ১১ টার দিকে আসামী যৌন-কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিম এর সাথে যৌন সঙ্গম করে এবং উক্ত ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীর্তে আসামী মো. সেলিম গাজী ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় তার রুমে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার যৌন সঙ্গম করে এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর চলতি বছরের ২ আগস্ট বিকেলে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকাস্থ ফাইলেরিয়া জেনারেল হাসপাতাল হতে চিকিৎসা শেষে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিকটিমকে ১৩ আগস্ট মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। পরে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ এর একটি দল ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত ২টায় পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানাধীন গুয়ারেখা ইউনিয়নের বরতকাঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেলিম গাজীকে গ্রেপ্তার করে। অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, উল্লেখিত নারী ও শিশু নির্যাতন আইন মামলার আসামী সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এআরএস