নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নাগেরকান্দী এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে স্বর্নালংকার ও টাকা পয়সা লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে গতকাল রাতে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর নাগের কান্দী গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার সাথে একই এলাকার সুজন মিয়া ও সফিউদ্দীন সফির দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমালিন্য চলে আসছিলো।এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সকাল অনুমান ৮ টার দিকে সুজন মিয়া, সফিউদ্দীন ওরফে সফি, ইব্রাহিম মিয়াসহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা সহযোগী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইয়াকুব মিয়ার বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের হাতে থাকা দেশীয় তৈরি লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ইয়াকুব মিয়া ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
এসময় বিবাদীরা সাহিদা বেগমের পরিধেয় জামা কাপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানি করে এবং তার গলায় থাকা ২ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় ও খাটের তোষকের নিচে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরবর্তীতে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ইয়াকুব মিয়া ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।।
সাহিদা বেগম বলেন, আমাকেসহ আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে এ ঘঠনা ঘটিয়েছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
অপরদিকে অভিযুক্ত সফিউদ্দীন ওরফে সফি মিয়া বলেন, তাদের সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং কথা কাটাকাটি হয়েছে একথা সত্যি কিন্তু মারপিট করিনি।
সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত আহসান উল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে আহত করার ঘঠনায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএস