রাউজানে অপহরণের ১৩ দিন পর কলেজছাত্রের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

রাউজান প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
রাউজানে অপহরণের ১৩ দিন পর কলেজছাত্রের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় অপহরণের ১৩ দিন পর অপহরণকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) নামের কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য এলাকার বেতবুনিয়ার শীলছড়ি গহীন পাহাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এরপর সনাক্ত করে ফেরার পথে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা চারদিক থেকে ঘেরাও করে পুলিশের গাড়িতে হামলা পূর্বক ঘটনায় জড়িত ও মামলার প্রধান আসামী উমংচিং মারমা (২৬) কে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।

এসময় পুলিশ সদস্যের উপর হামলাও করে জনতা। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের রওশান আলী বাড়ির মুহাম্মদ শফির ছেলে।জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট অপহরণের দুই দিন পর অপহরণকারীরা মায়ের মুঠোফোনে ফোন করে কথা বলিয়ে দেয় কলেজছাত্র হৃদয়ের সাথে।

তখন ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে সাড়া না পেয়ে গত ৩১ আগস্ট আবার ফোন করে দুই লাখ টাকা চায়। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর শিবলীর বাবা দুই লাখ টাকা নিয়ে বান্দরবান জেলা সদরের পূর্বনির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দুজন লোকের হাতে টাকা তুলে দেন। বলা হয় ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বাড়িতে চলে যাবে। কিন্তু বাড়ি ফিরেনি হৃদয়। এ ঘটনায় পরে ৬ সেপ্টেম্বর রাউজান থানায় অপহরণের মামলা করে ছেলেটির মা নাহিদা আকতার। এতে ২জন আসামীকে তখন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিখোঁজের ১২দিন পর রবিবার পর্যন্ত শিবলীর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।

রোববার চট্টগ্রাম নগরীর চাঁদগাও এলাকা থেকে জড়িত অপর ৩জনকে আটক করে র‌্যাব ৭। তাদের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সর্বপূর্বে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার একটি পাহাড় থেকে খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, আসামিদের তথ্যমতে অপহরণের শিকার তরুণের লাশ উদ্ধার করতে ২৫ পুলিশ সদস্য নিয়ে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে যায়।’ সেখানে ১নং আসামীকে দেখে স্থানীয় কয়েকশ উত্তেজিত জনতা গণপিটুনী দিয়ে হত্যা করে।

আমাদের দুটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আবদুল্লাহ আল হারুন আরও বলেন, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচআর