কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আগত দেশী বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার্তে ট্যুরিস্ট পুলিশ ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। ওই সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করলে দেশের যে কোন এলাকা থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে গেলে ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল সহযোগীতা পাবেন।
কক্সবাজার শহরের লাবনি পয়েন্টস্থ ট্যুরিষ্ট পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
এ সেবা চালুর লক্ষে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সম্মেলন কক্ষে ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারগণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক৷
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজিঅবিধান ত্রিপুরা, পিপিএম (বার)৷
উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার৷
সভায় আসন্ন বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সাফল্যমন্ডিত করতে এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল খাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল স্টেকহোল্ডারগণদের প্রতি একত্রে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানানো হয়।
সৈকতের লাবনী বীচ সংলগ্ন ট্যুরিষ্ট পুলিশের কার্যালয়ের সামনে কন্ট্রোল রুম থেকে সেবা দেয়া হচ্ছে। জরুরি দরকার হলে কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরে ০১৩২০১৬০০০০ যোগাযোগ করলে সেবা কার্যক্রম পাবেন।
কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, কোন পর্যটক কক্সবাজার গিয়ে যদি হোটেল রুম বুকিং করতে সহায়তা চায়। তাও করে দেয়া যাবে।
জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরতে যেতে কেউ মাইক্রোবাস,পিকআপ,অটোরিকশা (টম) ভাড়া করতে সহযোগীতা চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে।
এমনকি পর্যটকরা কোন হোটেলে ভাত-নাস্তা খাইলে তাদের (পর্যটক) সুবিধা হবে সব কিছুই পর্যটকদের জানিয়ে গাইডলাইন দেয়া হবে। পর্যটকরা কক্সবাজারে গিয়ে যোগাযোগ করলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেবা দিবে। সেবার মান এখন প্রতিদিন বাড়ানো হচ্ছে।
ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে ফোনে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট, সেণ্টমার্টিন, ইনানী, হিমছড়ি, পাথরের রানী ও পাটুয়ারটেক, টেকনাফসহ ১১টির বেশী পয়েন্টে পর্যটকরা গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক সেবা দেয়া হয়।
ট্যুরিষ্ট পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে সেখান থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে। টার্গেট পর্যটকদের ভ্রমণকে সহজীকরণ ও নিরাপদ করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আসছে শীত মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে দেশী বিদেশী কয়েক লাখ পর্যটক যাবেন। সেখানে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে ৪শত বেশী আবাসিক হোটের ও গেস্টরুম আছে। পর্যটকরা হোটেলে অবস্থান নিয়ে সৈকত ছাড়াও সেণ্টমার্টিন, টেকনাফসহ বিভিন্ন স্পটে বেড়াতে পারবেন। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখন সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্পট গুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
এআরএস