মেহেরপুরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মু. তানভীর হাসান রুমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
সেমিনারে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। তিনি সাংবাদিক বান্ধব ছিলেন। বঙ্গবন্ধু চাইতেন কোন সাংবাদিকের হাতে যেন হাতকড়া না পড়ে। তিনি বলতেন, একজন সাংবাদিক সমাজে উচ্চতর শ্রেণির। ওই সময় ম্যাজিষ্ট্রেটদের থেকে সাংবাদিকদের বেতন বেশি ছিলো।
সাংবাদিকদের মান উন্নয়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেইস তৈরি কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৩২টি জেলা থেকে সাংবাদিকদের তালিকা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত বাকি জেলাগুলো থেকেও আমরা তালিকা পেয়ে যাব। একই ভাবে আমরা সকল মিডিয়া হাউসগুলো থেকেও সাংবাদিকদের তালিকা চেয়েছি। যাতে করে সাংবাদিকদের নিজস্ব একটা পরিচয় তৈরি হয়।’
প্রেস কাউন্সিল আইন সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, আমরা কিছু সংশোধনী নিয়ে এসেছি। খুব শিঘ্রই সংসদে এ আইন পাশ হবে। বিদ্যামান আইনে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বদলে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। স্বাগত বক্তব্যে দেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস