নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন-লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আঞ্চলিক সংযোগ সড়কের ভুলুয়া খালের উপর ৩০ বছর আগে স্থাপিত বেইলি ব্রিজটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ৮০মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩মিটার প্রসস্থ এ ব্রিজের পাটাতনে মরিচা ধরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এটি। নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা।
রামগতি উপজেলার চর আফজল গ্রামের রিকশাচালক রাকিব (৩০) বলেন, রিকশায় যাত্রী নিয়ে এই ব্রিজ পারাপার সম্ভব না। রিকশার চাকা মরিচা ধরা স্টিলের পটাতনের ফাঁকে আটকে যায়। রাতের বেলা তো দূরের কথা দিনের বেলাও এই ব্রিজের ওপর দিয়ে রিকসা চালানো অসম্ভব।
চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহ্জাহান (৬০) বলেন, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের পথ চররমিজ ইউনিয়নের এই বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত পাটাতনে মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা কিংবা মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারে না। পায়ে হেঁটে লোকজন চলাচল করে । এতে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি অপচয় হচ্ছে সময়।
সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু বলেন, ব্রিজটি সুবর্ণচর ও রামগতি উপজেলার মধ্যে চলাচলকারী একমাত্র ব্রিজ। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। ব্রিজটি ভেঙে জরুরি ভিত্তিতে পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ব্রিজটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, চলতি অর্থ বছরে বেইলি ব্রিজটি সংস্কারের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই মেরামতের জন্য দরপত্র আহবান করা হবে।
এআরএস