মানিকগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
মানিকগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড মানরা এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবিদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথের তত্ত্বাবধানে মানরা খালের উপর ১৮ মাস মেয়াদের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ ও ২৫০ মিটার এপ্রোচ। এ ব্রিজের সংযোগ সড়কের এপ্রোচ নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, এই ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণে যে খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো নিম্নমানের। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এপ্রোচের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসী হতাশ। সড়ক ও জনপথের কিছু অসাধু কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণেই দেশ ও জাতীর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এক অজানা কারণেই নিরব ভূমিকা পালন করছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।

নাম না বলা শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক জানান, এ ইটের খোয়া ও বালু খারাপ কিনা তা আমি বলবো না, আমাদের এই প্রতিষ্ঠান যে মালামাল এনে দেয় তা দিয়েই কাজ করতে হয়।

একাধিক বাস-ট্রাক চালকরা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের সংযোগ সড়কের এপ্রোচের কাজ হচ্ছে। কিছুদিন গেলেই এই এপ্রোচ উঁচু-নিচু হয়ে ফাঁটল ধরবে এবং কি রোড এক্সিডেন্টের আশঙ্কাও থাকবে বেশি।

আবিদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের নিয়োগকৃত প্রকৌশলী তৌহিদ বলেন, ইটের খোয়ার সাইজ একটু বড় থাকতে পারে, তাছাড়া সব ঠিক আছে। আপনারা যদি মনে করেন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছি তাহলে আমরা এগুলো সরিয়ে নিব।

সড়ক ও জনপথের সহকারি প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, আমার বক্তব্য দেওয়ার কোন এখতিয়ার নাই। তবে এপ্রোচ তৈরীতে ভালমন্দ মিলিয়েই কাজ করা হচ্ছে। ইটের খোয়ার সাইজ ঠিক আছে। আপনারা আমাকে জানালেন, বিষয়টি আমি স্যারকে জানাবো।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ল্যাব টেষ্টে এপ্রোজ নির্মাণ সামগ্রীর মান ভালো না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ভালো মানের নতুন সামগ্রী দিতে বলা হয়েছে।

মামুন/এআরএস