বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, আমরা রাজপথে নেমেছি, এখান থেকে ফিরে যাব না। এই চলমান রোডমার্চেই সরকারের পতন ঘটিয়েই আমরা ফিরে যাব।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠিতে রোডমার্চ কর্মসূচির ২য় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল বেলস পার্ক থেকে এই রোড মার্চ শুরু হয়। রোডমার্চটি ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুরে গিয়ে শেষ হবে।
টুকু বলেন, ‘এই সরকার আমাদের ভোটের অধিকার হরন করেছে। এইবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সেজন্য আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যাবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের যে একদফার আন্দোলন সেই আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এই আন্দোলনের সফলতা আসতে আর বেশি সময় নাই। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটচোর, স্বৈরাচার, অবৈধ, অনির্বাচিত শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ ভোটচোরকে ধরার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটচোরদের সময় শেষ, জনগণের বাংলাদেশ। ’
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, ‘ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একদফার আন্দোলন চলছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।’
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন্দ কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, কামরুজ্জামান দুলাল, এড. তসলিম উদ্দীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজা পাহালবি মাসুম, সহ প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুমন, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক কেএম মুসাব্বির সাফি, বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা খান, ঝালকাঠি জেলা যুবদলের সভাপতি মো শামীম তালুকদার প্রমুখ।
রোডমার্চ শেষে পিরোজপুর শেয়ালকাঁটা ময়দানে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরএস