রবি মৌসুমে প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা হলেও গ্রীষ্ম বা বর্ষা মৌসুমে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১-২শ টাকা। এতে ১০-১৫ গুন লাভ গুনছেন চাষিরা। সরেজমিনে গিয়ে কৃষির অভয়রাণ্য নোয়াখালীর সুবর্ণরের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের সফলতার কথা।
উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের কৃষক নুর উদ্দিন আমার সংবাদকে জানিয়েছে, ৫শতক জমিতে পলিসেডে টমেটো চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে ২০হাজার টাকা। এমৌসুমে টমেটোর চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় ৬০হাজার টাকার মতো টমেটো বিক্রি করেছেন তিনি। তার মতে, একই সেডে ২-৩ বছর ফসল ফলাতে পারবেন তিনি। এতে নতুন করে খরচা করতে হবে না তাকে।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের টমেটো চাষি মো. ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, রবি মৌসুমে তিনি টমেটো চাষ করে ৫-১০টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কৃষি অফিসের সহায়তায় এবার ৫শতক জামিতে টমেটো চাষে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। প্রতিকেজি টমেটো পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন ১-২শ টাকা পর্যন্ত। তাদের দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন গ্রীষ্ম কালিন টমেটো চাষে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমার সংবাদকে জানিয়েছেন, এখানকার কৃষি পণ্য বৃহত্তর নোয়াখালীর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হচ্ছে। রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালিন ফসলে তুলনামুলক বেশি লাভবান হচ্ছেন তারা। গ্রীষ্ম কালিন টমেটো তেমনই একটা ফসল। তার মতে, এবছর সুবর্ণচরে গ্রীষ্মকালিন টমেটো আবাদ হয়েছে ৮ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, আগামীতে এর দ্বিগুন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এইচআর