সেন্টমার্টিনে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
সেন্টমার্টিনে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু

কক্সবাজারে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী একটি স্পিডবোট নাফ নদীতে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ফিরোজা বেগম (৫৫) নামের সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক নারী সদস্য মারা গেছেন। এছাড়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় পর্যটকসহ ২৩ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার নাইক্ষংদিয়ার টুরারমাথা (গোলগড়া) এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে ডুবে যায়। ডাবল ইঞ্জিন চালিত এ স্পিডবোটটিতে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে স্পিডবোটটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। মোহনার নাইক্ষংদিয়া এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিড বোটটি তলা ফেটে পানি প্রবেশ করতে থাকে।

এসময় স্থানীয় কোস্টগার্ডের একটি টহল দল ও যাত্রীবাহী স্পিডবোট এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ডুবে যাওয়ার সময় ফিরোজা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেন্টমার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান বলেন, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ফিরোজা নামে একজন নারী মারা গেছেন। আরো দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের যাত্রী পর্যটক আরিফ উল্লাহ বলেন, স্পিডবোটের তলা ফেটে গেলে চালক আব্দুল্লাহ পার্শ্ববর্তী কোস্টগার্ড ও অপর একটি স্পিডবোটের সহযোগিতা চাইলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আজ নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় স্পিডবোটটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক একজন নারী ইউপি সদস্য মারা গেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, স্পিডবোট ডুবিতে এক নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাশেদুল/এআরএস