কুষ্টিয়াতে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে কুষ্টিয়া শহর পানিতে ভাসছে। অফিস আদালতে পানি প্রবেশ করায় কাযর্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরের রাস্তা ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচলের চরম ভোগান্তি বেড়েছে।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা কুষ্টিয়া। এ পৌরসভা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের তেমন উন্নত হয়নি এখনো। যার ফলেই অল্প বৃষ্টি হলেই পানি বের হবার ড্রেন ভরে পানি রাস্তায় চলে আসে। এরপর আবার ভারি বর্ষণ। ড্রেনগুলো অপরিস্কার থাকার কারণেই দ্রুত পানি ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হতে পারছেনা।
বুধবার রাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় শহরের থানাপাড়া, কোর্টপাড়া, আড়ুয়াপাড়া, কুঠিপাড়া, আমলাপাড়া, বড় বাজার, মিলপাড়াসহ সরকারী দপ্তর সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, ডিসিকোর্ট, জজ কোট, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেনারেল হাসপাতাল, মজমপুর পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। আদালত চত্বরসহ সরকারি দপ্তরে প্রবেশ করতে পারছেনা ভুক্তভুগিরা। বৃহস্পতিবারও থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুর। মাছগুলো উঠে আসায় রাস্তার উপর জাল দিয়ে অনেকেই মাছ ধরা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
কোর্টপাড়ার এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌরসভায় বসবাসের ট্যাক্স আদায় নিয়ে ব্যস্ত অথচ পৌরসভার নাগরিকরা কিভাবে সুবিধা পাবে সে দিকে নজর নেই। শহরের পানি বের করার ড্রেনগুলো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পরিস্কার না করায় এই জলবদ্ধার স্বীকার হয়েছি। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্বেও আমরা সব দিক থেকে বঞ্চিত। বৃষ্টির পানির ফলে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই।
একজন রিকশা চালক বললেন, আমরা গরীব মানুষ, খেটে খাওয়া লাগে। তাই এত কষ্টের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে থৈথৈ পানি এর মধ্যে কি রিকশা চালানো যায়।
সাধারণ পথচারীরা বলেন, শহর যেভাবে ডুবে গেছে তাতে করে যানবাহনের পরিবর্তে নৌকা নিয়ে চলাচলা করতে হবে। কুষ্টিয়া যে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা রাস্তাঘাট দেখে তা মনে হচ্ছেনা।
এদিকে স্কুল-কলেজে পানি ভোরে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছেনা। চারিদিকে শুধুই পানি আর পানি। প্রবল বর্ষণের ফলে মাঠঘাট ডুবে যাওয়ায় চাষীরাও পড়েছে বেকায়দায়।
এআরএস