ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গৃহবধূকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বক্কার শেখের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গৃহবধূর বাবা আজিজার মোল্যা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে হত্যা মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে আবু বক্কার শেখ (৩৮) পাশের রুপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের আজিজার মোল্যার মেয়ে জেসমিনকে (৩০) গত ১৫ বছর আগে বিয়ে করে। ১৫ বছরের সংসারে তাদের ১২ বছরের একটি ছেলে ও ৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য প্রায় মারধর করে ওই গৃহবধূকে। কিছু দিন আগে গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দেয় তার স্বামী বক্কার শেখ। এ ছাড়া গৃহবধূকে নির্যাতন করে আহত করার ঘটনায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছু দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়।
গত ১ অক্টোবর রোববার সকালে গৃহবধূর স্বামী তার বাবার পরিবারকে খবর দেয় তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা আজিজার মোল্যাসহ পরিবারের লোকজন এসে দেখে মেয়ের গলায় চার পাঁচটি গিট্টু দেওয়া রশি পেচিনো অবস্থায় পড়ে আছে ঘরের মেজোতে।
খবর পেয়ে ডহরনগর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আসলাম লাশ ঘরের মেঝ থেকে উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
তিনি আরও বলেন, গৃহবধূর গলায় রশি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল বলে জানান।
গৃহবধুর মা বলেন, আমার মেয়েকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মেরে পেলেছে ওরা। আর আমার মেয়ে জামাই মেয়েকে অনেক মারধর করতো এবং জামাইয়ের ভাইয়ের আগে আমার হাতে রামদা দিয়ে কোপ মেরে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ওরা ৬ মাস আগে আমার মেয়ের হাত ভেঙে দিয়েছিল। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, গৃহবধূর বাবার লিখিত অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী বক্কার শেখকে প্রধান আসামিসহ ৬ জনের নামে নিয়মিত হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এআরএস