নীলফামারীর সৈয়দপুরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা। এবার সৈয়দপুরে ৮৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে । এ জন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সৈয়দপুরে মৃৎশিল্পীরা।
আগামী ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্য বিধির কড়া নির্দেশ।
এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ মানে অশুভ মাস। সেই কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবীদুর্গা মর্ত্যে আসবেন মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। পরদিন মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান। মহাঅষ্টমী এবং মহানবমী পূজা। মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা।
প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রী কান্ত রায় (৫৫) বলেন, আমারা প্রতি বছর এ সময় ৭-৯টি পূজা মন্ডপের কাজ করে থাকি, এ বছর মাত্র ৫টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম ৪৫-৫৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে কিন্তু অতীতের মতো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, একেই কথা বলেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা।
সৈয়দপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস মিন্টু বলেন, ডেঙ্গুর কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পূজা সম্পর্কিত সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পূজা মন্ডপগুলোতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেওয়া হবে না।
এআরএস