বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের বালিগ্রামে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলার রায়ে এক আসামিকে ফাঁসির দণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা ৪ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে প্রধান আসামি রাসেল হাওলাদারকে ফাঁসির দণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মামলার অপর ৩ আসামি মো. বেল্লাল, মো. শাহিন ও মো. ইদ্রিস হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার পলাতক আসামি সৈয়দ মৃধাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ মার্চ রাতে আসামিরা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্সের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা ওই রাতে বালিগ্রাম এলাকায় তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে পরদিন পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে জেলা জজ আদালতে ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামি রাসেলকে ফাঁসি এবং অপর ৩ আসামি বেল্লাল, শাহিন ও ইদ্রিসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন নিহত প্রিন্সের বাবা নুরুল ইসলাম হাওলাদার।
এদিকে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য ছাড়াই অন্যায়ভাবে আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা।এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে দাবি তাদের। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান রিয়াজ।
এইচআর