ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা প্রশাসন এ সমাবেশের আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের ওই সমাবেশে সমাবেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা।প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তাকজিল
খলিফা কাজল।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মোসলেম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূইয়া, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, শাফিকুর রহমান, মো. আব্দুল মতিন, মো. জালাল উদ্দিন, মো. শাহজাহান, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল, কাজী মো.মাঈনুদ্দিন, কাজী কেফায়েত উল্লাহ, দীপক কুমার ঘোষ, বাবুল মিয়া, মো. শাহ আলম,শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। কোরআল তেলেওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।
পুজোর আনন্দ সম্পর্ক বলতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানালেন, ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় যে এলাকায় সুন্দর পুজা হতো সেখানে ছুটে যেতেন। বন্ধুরা সবাই মিলে পুজা উপভোগ করতেন। এখনো যেসব এলাকায় সুন্দর পুজায় হয় সেখান থেকে আমন্ত্রণ আসে, এবারও এসেছে। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে পুজোর সময় নাড়ু–র কথা আলাদাভাবে তুলে ধরেন।
সোমবার আখাউড়ায় অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে মুখে মুখে এমন সম্প্রীতির উদাহরণ উঠে আসে। স্বাগত বক্তব্যে আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, সম্প্রতি আলেমা- ওলামাদের আয়োজনে হওয়া হামদ-নাত ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় তাকে বিশেষ
অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওযাত হোসেন তাঁর বক্তব্যে এবারের পুজাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারিরা কিছু একটা করতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবেপুলিশের যে প্রস্তুতির সেটার কাছে অনিষ্টের পরিকল্পনা কিছুই না বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানান।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল তাঁর বক্তব্যে অনিষ্ট করার চিন্তাকারিদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারির সংখ্যা খুব বেশি না। আমরা তাদের নাম-ঠিকানা ও বাড়ি পর্যন্ত চিনি। কেউ কিছু করার চেষ্টা করলে এর
বাব দেওয়া হবে।’
শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কসবা-আখাউড়া নিয়ে যে সংসদীয় আসন সেটির সংসদ সদস্য হলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এলাকাবাসীর যে কোনো সমস্যাতেই তিনি বিচলিত হন। তাই ওনি বিচলিত হন এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আখাউড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। মন্দিরের পাশে যেমন মাদরাসা রয়েছে আবার শ্মশাণের পাশেও কবরস্থান রয়েছে। একে অপরের অনুষ্ঠানে যাওয়ার রীতি এখানে বিদ্যমান।’
আরএস