সাঁকো বেয়ে ৩৭ লাখ টাকার সেতু পার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৩:৩৫ পিএম
সাঁকো বেয়ে ৩৭ লাখ টাকার সেতু পার

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে নেই মাটি। যার ফলে সেতুতে চলাচলের জন্য আলাদাভাবে সংযোগ করা হয়েছে কাঠের সাঁকো। ২০১০ সালে ইউএসএ আইডির অর্থায়নে ও কেয়ার বাংলাদেশের সহোযোগিতায় চরাঞ্চালে প্রান্তিক জনগণের সহযোগিতায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বালাপাড়া ইউনিয়নে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল।

সেতুটি নির্মাণের প্রায় ৫ বছর পরে বন্যার পানির স্রোতে সেতুর দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতুটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানিয়রা।

এই অবস্থাতে ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। এমন অবস্থায় সেতু পার হতে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ব্যবহার করছেন স্থানীয় লোকজন। এমন দৃশ্য দেখা গেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা গ্রামের তিস্তার শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিতে।

ওই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন স্থানীয় গোপীডাঙ্গা, আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া, হরশ্বির, মৌলভী বাজার ও লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষে যাতায়াত করে থাকেন। তিস্তা নদীর বন্যার পানির শ্রোতে সেতুর দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতু হেলে পরেছিল তাই সেতুতে চলাচল করতে উভয় প্রান্তে বাশ ও কাঠের কাঠের সাঁকো তৈরী করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু দিয়ে লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে, এর জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় ভোটের লোভে সড়ক ও সেতু সংস্কার করার আশ্বাস দিয়ে যান, কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ খোঁজ রাখেন না।

সাধারণ মানুষ উন্নয়নের আশায় বুকবেঁধে এমপি নির্বাচিত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্শিকে। তিনি পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা তিন ট্রাম এমপি ও  বর্তমানে পূর্ণমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় মানুষের বুক ভরে গেছিলো। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি তিনি চরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তেমন কোন প্রকল্পই গ্রহন করেন নাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমী জানান, সেতুটির বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রীর মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি এবং উপরে প্রকল্প পাঠিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব অর্থ বারদ্দ সাপেক্ষে সেতুটির কাজ করা হবে।

এআরএস