ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প ও পুন:খননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী, খাল, জলাশয়ের উদ্বোধন এবং নতুন অনুমোদিত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২৮টি জেলায় ৬৫টি কমিউনিটি আই সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি আজ সোমবার ঢাকা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধার সদর উপজেলার বাগুড়িয়া হতে ফুলছড়ি উপজেলার গণকবর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেন।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট, রতনপুর, সিংড়িয়া, কাতলামারী ও গণকবর এলাকায় সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণের কাজ করা হয়। এ উপলক্ষে ফুলছড়ির বালাসীঘাট নৌটার্মিনালে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক, গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সুশান্ত কুমার মাহাতো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইবনে মিজান, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত আবেদুর রহমান স্বপন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মজিবুর রহমান, রেজাউল করিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক রজ্জব আলী, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিএম সোহেল শালুসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে চার হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। তবে  ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট জনগণের কল্যাণের দিকে না তাকিয়ে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সে কারণে ডেলটা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুরক্ষিত পানি ব্যবস্থাপনা করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হলে জনগণ নিরাপদ পানি পাওয়ার সুযোগ পাবে।

এআরএস