কিশোরগঞ্জে নির্মাণের ৩ বছরেই ভাঙনের কবলে পড়েছে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জনগুরুত্বপূর্ণ করিমগঞ্জের মরিচখালি টু নিকলীর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কটি। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।দেবে গেছে দুই পাশের প্রতিরক্ষা ব্লক। বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে বিটুমিনের আস্তর।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে করিমগঞ্জ মরিচখালি হয়ে নিকলী চলাচল করে হাজারো মানুষ।রাস্তাটি নির্মাণের ফলে হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছিল। তবে নির্মাণের মাত্র তিন বছরের মধ্যে সড়কে ভাঙন ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে ৭৫ কোটি ৬৯ লাখ তিন হাজার ১৮২ টাকা ব্যয়ে নিকলী উপজেলার সঙ্গে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালীকে যুক্ত করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের শেষ দিকে। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে তিনটি সেতু ও ৯টি কালভার্ট রয়েছে।
হাওরের মাঝখান দিয়ে এ সড়কটি নির্মাণের ফলে বদলে যেতে শুরু করেছিল হাওরবাসীর যোগাযোগব্যাবস্থা।তবে প্রবল বর্ষণে রাস্তার নিচ থেকে বালি সরে যাওয়ায় ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে রাস্তাটি ব্যাবহার করে জেলা শহরে চলাচলকারী ও স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিকলী থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের অন্তত ২০টি স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরে গেছে দুই পাশের প্রতিরক্ষা ব্লক। বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে বিটুমিনের আস্তর। বালি দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করায় নিচের বালি সরে ভাঙন বাড়ছে দিন দিন। ফলে ব্যস্ততম এ সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। নিম্নমানের কাজের ফলে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের দাবি দ্রুত এ সড়কটি সংস্কার করা হোক।
কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, প্রবল ভারি বর্ষণে ব্লক সরে গিয়ে নিচের মাটি সরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা রাস্তাটি সাময়িক মেরামত করেছি। সংস্কার কাজের জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। টেন্ডার হলে কাজ শুরু হবে খুব শিগগিরই বলেও জানান তিনি।
এআরএস