দৌলতপুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম
দৌলতপুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উপজেলার শতাধিক ছোটবড় বাজারের অর্ধসহস্রাধিক দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। আইন কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চলছে অহরহ।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজার, পাড়া, মহল্লার মুদি দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রির দোকান, ফার্নিচার দোকান, ফোনফ্যাক্সের দোকান এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব দোকানে নেই কোন আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

জানা গেছে, জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী যে সব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিক্রি করবে তাদের গ্যাস বিক্রির স্থানকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা রেখে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালাতে হয়। আইন অনুযায়ী গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে মেঝে পাকাসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপন সিলিন্ডার মজবুত ও ঝুঁকিমূক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন।

বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে কেবল ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিলেই হবে। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। কিন্তু দৌলতপুর  উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে ২০০টি প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিান কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এর কোনটিই নেই হাতেগোনা ২/১ জন ছাড়া এই উপজেলার গ্যাস ব্যবসায়ীদের। এসব গ্যাস ব্যবসায়ীরা সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অধিক লাভের আশায় মান ও মেয়াদহীন অনেক কোম্পানির সিলিন্ডার রাখায় এসব দোকানীরা নিজের অজান্তেই বোমার চেয়ে ভয়ানক বিপদের পশরা সাজিয়ে রেখেছেন।

উপজেলার পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে কিংবা রোদে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ঠিক নয়। এতে চাপ ও তাপজনিত কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ জানান, নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এআরএস