ঝালকাঠির নলছিটি-মোল্লারহাট আঞ্চলিক সড়ক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে হালকা আকৃতির যানবাহন, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সংলগ্ন তাফালবাড়ি নামক এলাকায় গত ১৫-২০দিন পূর্বের ভারী বর্ষণে প্রথমে বড় ফাটল দেখা দেয়ার পর মূল সড়কে বড় ধরনের ধসের ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গনে রাস্তার বড় একটি অংশ খালে চলে গেছে।এতে ওই রুটের ঢাকাগামী বাস ও পণ্য পরিবহনের মালবাহী ভারী যানবাহল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের পাশে খাল ও বনবিভাগের বড় গাছপালা থাকায় কারণে টানা বর্ষণ হলেই সড়ক ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এলাকাবাসীর।
অটোরিকশা চালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে গাড়ি চালাই। মাঝে মাঝে ভাঙ্গা স্থানে ট্রলি ও মাহেন্দ্রা আটকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।পরে চালকও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়।
ব্যবসায়ী লিটন মোল্লা জানান, এ সড়কটি উপজেলার প্রধান সড়ক। এ সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন নলছিটি, বরিশাল ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ চলাচল করে। সড়ক ঘেঁষে পৌরসভার শিতালপাড়া থেকে সুবিদপুর ইউনিয়নের শের-ই-বাংলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার জায়গায় সরকারি খাল, সড়কের পাশে বড় গাছপালা ও কয়েকটি বানিজ্যিক মাছের খামার থাকায় কিছুদিন পর পরই সড়কের বিভিন্ন জায়গা ধসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, ভারী বৃষ্টিতে নলছিটি-মোল্লারহাট সড়কের একই এলাকায় দু`টো জায়গা ধসে পড়েছে।একটির সংস্কার কাজ শেষ সম্পূর্ন শেষ করার আগেই পাশ্ববর্তী এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আরও একটি স্থান খালে ভেঙে পড়েছে। ভাঙ্গন কবলিত জায়গার গাছ সরানোর কাজ চলছে। আপাতত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
এইচআর