পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদালতের ডিক্রী পেয়েও কৃষিজমি চাষাবাদ করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে এক তিল কৃষিজমি অনাবাদি রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
সেখানে প্রায় ৫ একর ১৪ শতাংশ জমি অনাবাদি রাখতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তোভোগী রাজিব তালুকদার। আদালত তার পক্ষে রায় দিলেও প্রতিপক্ষ সে রায়ের তোয়াক্কা না করে পেশি শক্তির বলে এ হেন কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের (টিয়াখালী মৌজা, জেএল নং- ২৬) প্রায় কয়েক একর জমি অনাবাদি রয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘ বছর ধরে এ জমি জারজিস তালুকদারের পুত্র রাজিব তালুকদার চাষাবাদ করে আসছে বলে জানান। হঠাৎ স্থানীয় কিছু কুচক্রিমহল ও তার বংশধরের কতিপয় লোক ওই জমি তাদের সম্পত্তি বলে দাবি করে।
পরে তিনি জমি বুঝে পেতে কলাপাড়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার মূল দেং মোং নং ৩৩৫/২০১৯। আদালত রাজিব তালুকদারের পক্ষে ডিক্রী প্রদান করে (দেং ডেং নং ০১/২০২৩)। আদালতের রায় পেয়ে জমি চাষাবাদ করতে গিয়েও তাকে ব্যর্থ হতে হয়। প্রতিপক্ষের পেশি শক্তির কাছে তিনি অসহায় হয়ে পরেন। তারা আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমি চাষাবাদে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার সালিশ বৈঠক হলেও মিলেনি কোন সুরাহা। ফলে চাষাবাদি জমি অনাবাদি রয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন রাজিব তালুকদার।
ভুক্তোভোগী রাজিব তালুকদার বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছি। একটি পক্ষ ওই জমি তাদের বলে দাবি করলে আমি আদালতের শরণাপন্ন হই। বিজ্ঞ আদালত সকল কাগজ-পত্র পর্যালোচনা করে আমার পক্ষে রায় প্রদান করে। তবে আদালতের রায়ের পরেও তাদের পেশি শক্তির কারণে জমি চাষাবাদ করতে পারছিনা। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এআরএস