ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান শেখ বিপ্লব- ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের মনাটি গ্রামে বুধবার সকালে দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসিন মিয়া শরীফ (১৮) নিহত হয়েছে।
সে এ গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। শরীফ শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত হাশেম আলীর ছেলে এরশাদকে (৪০) আটক করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ।
শরীফের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী তরিকুল জানায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় সে আর শরীফ ও আরমান তিনজন মনাটি বাজারে চুল কাটার উদ্দেশ্যে বের হয়। এসময় প্রতিবেশি এরশাদের বাড়ির সামনে গেলে সে পথরোধ করে দাঁড়ায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই এরশাদ কোমর থেকে ছুরি বের করে শরীফের পেঠে ঢুকিয়ে দেয়। তখন তারা ভয়ে পালিয়ে যায় ও কিছু দুর গিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। এসময় প্রতিবেশিরা এসে শরীফকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।
শরীফের দাদা ইনতাজ আলী জানান- কয়েক বছর আগে শরীফের বাবা সবুজকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এরশাদ। এ মামলায় সে কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়। শরীফকে সে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি নারী জানান- এরশাদ মাদক সেবন ও বিক্রি করে। বাড়ির পাশে মনাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রী ও প্রতিবেশি নারীদের সে উত্যক্ত করে, রাতে বিভিন্ন মহিলার ঘরে হামলা করে। এলাকায় সারাক্ষণ আতংক ছড়িয়ে রাখে এরশাদ।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান- এরশাদের নামে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) মোঃ সুমন মিয়া জানান,- শরীফ হত্যা ঘটনায় অভিযুক্ত এরশাদকে আটক করা হয়েছে। লাশ পোস্ট মর্ডামের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরএস