রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের (৩৩) গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। সে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম বলেন, তার গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকেন। মা ও ভাই কান্নাকাটি করছেন। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ ২০০৯সালে পুলিশে যোগ দেন। তারা দুই ভাই। চাকুরির সুবাদে পারভেজ পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকে। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৬বছর বয়সী তানহা ইসলাম নামের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনের তাদের বসতভিটা হারিয়ে পার্শবতী দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করেন। ফয়েজপুরে বসবাস গড়ে তুললেও এখনও তারা দৌলতপুর এলাকার ভোটার।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। নিহতের পরিবার যেভাবে চাইবে সেইভাবে হবে। শোক তার জানাযা নামাজ ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
আরএস