আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত শনিবার ঢাকা সমাবেশ থেকে দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। তারই আলোকে ২৯ অক্টোবর রোববার হরতাল থাকলেও বিএনপির স্থানে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রাজপথ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে।
পাশাপাশি পুলিশের অবস্থান দেখা মিললেও মিলেনি বিএনপি বা তার অঙ্গসংগঠনের কোন নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিতি। যেকারণে উপজেলার কোথায় কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের ফরিদগঞ্জ বাজার, বাসস্ট্যান্ড, চাঁদপুর-রামগঞ্জ সড়কের চান্দ্রা বাজার, ওয়াপদা অফিস, একতা বাজার, কামতা বাজার ও হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের মনতলা বাজার এবং ফকির বাজারে সব কিছু ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।
দোকান পাঠ খোলা থাকলেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। সড়কে চলাচল ছিল মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল।
এদিকে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদগঞ্জ পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একইদিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাজে আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে হরতাল বিরাধী শান্তি মিছিল বের করেন।
একইদিন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন ভূঁইয় ইরানের নেতৃত্বে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সিআইপি জালালল আহমেদের পক্ষে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন তালুদারের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
তাছাড়া একইদিন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের নেতৃত্বে উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে এবং ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টহল জোরদার ছিল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা কর্মসূচি ছিল বলে বিএনপির নেতাকর্মী ফরিদগঞ্জ রাজপথে অবস্থান নিতে এলোমেলো হয়েছে। তবে জনগণ এ হরতালকে সমর্থন দিয়ে ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রাজপথে শান্তি বজায় রাখার লক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় নিজ নিজ এলাকায় নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
আমাদের মূল লক্ষ ছিল যানবাহনে সাধারণ মানুষ চলাচলে যেন বিএনপি জামায়াত কোন বাধা প্রয়োগ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের ওয়াপদা অফিস এলাকায় বিএনপি একটু বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশের উপস্থিতির আগে এলাকা ত্যাগ করে। তাছাড়া আর কোথায়ও কোন সমস্যা হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
এইচআর