হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারসহ কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি জানিয়ে ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কৃষক নেতারা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ ওরফে কুল ময়েজ বলেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধ করে কৃষিপণ্য তথা কৃষককে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। ২০১৪ সালে টানা হরতাল-অবরোধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিখাত। পরে করোনাকালীন সময়ে মুখ থুবড়ে পড়ে দেশের কৃষি অর্থনীতি। বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে কৃষিখাতের ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকরা মাঠে কঠোর পরিশ্রম করছেন।
কৃষকদের ব্যাংক থেকে কোন ঋণ দেওয়া হয় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এনজিও এর সুদসহ ঋণের কিস্তি দিতে আজ কৃষক সমাজ হিমসীম খাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে হরতাল আর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করেছে বিরোধী রাজনৈতিক জোট। এতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কৃষক সমাজ।
কৃষিখাতে শুধুমাত্র ঈশ্বরদীতেই প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করে কৃষক ও কৃষিপণ্যকে জিম্মি করে রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় যায়, তারা লাভবান হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। হরতাল অবরোধে কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেওয়া না হলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কোটি কোটি কৃষক। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের সঞ্চালনায় জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত মৎস্য চাষি হাবিবুর রহমান ওরফে মাছ হাবিব, পদকপ্রাপ্ত বেলী বেগম, রেজাউল করিম রেজা, শাহিনুজ্জামান, খোরশেদ আলমসহ শতাধিক কৃষক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস